
জ্যাকীর লেখা গল্পগুলো ভারতে পড়ানো হচ্ছে
সে যখন সিদ্ধান্ত নিল গল্পগুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করবে, প্রথমে যা প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় গল্প সম্পাদনা করতে পারেন এমন সম্পাদককে খুঁজে বের করা। আমাদের গুরুজনদের সাহায্য চাইল। নিরুৎসাহের ঝড় বইয়ে দিলেন তাঁরা। অনেকে কটু বাক্যও শোনালেন।
পাশে দু’একজন শুভাকাংখীকে নিয়ে, নিজের চেষ্টায় তার ‘সাইলেন্ট নয়েজ’ প্রকাশিত হল এখন থেকে তিন বছর আগে।
কেউ পড়েন, কেউ শুধুই বইটি কেনার জন্যে, তাকে খুশি করার জন্যে কিনে ফেলে রাখেন। যারা পড়েন, তাদের কাছে ভাল লাগে। আমাদের চারপাশেই ঘটে যাওয়া কিছু দৈনন্দিন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাত, অসহায়ত্ব ও আশার মনস্তত্বের সম্মিলন ঘটেছে তার গল্পগুলোতে।
প্রায় বছর দেড়েক আগে, ইউটিউবে একটি ভিডিওচিত্রে তামিল ভাষায় তার বইয়ের প্রথম গল্পটির পর্যালোচনা পাওয়া যায়। ঠিক বোঝা যায় না। তামিল ভাষায় কেন? বইটি তামিলভূমিতে গেলই বা কি করে?!
কিছুদিনের মধ্যেই ভিডিওটির কথা সে ভুলে যায়।
সম্প্রতি ভারতের তামিল নাডুর জেপি কলেজ অব আর্টস এ্যান্ড সাইন্স-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় যে জ্যাকীর লেখা গল্পের বইটি কলেজের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। কোর্সটির নাম ‘দক্ষিন এশিয়ার ইংরেজি সাহিত্য – ছোটগল্প’। তার সাথে হানিফ কোরেশি এবং গীতা হরিহরনের গল্পও আছে।
জেপি কলেজ সে’রাজ্যের মানোমানিয়াম সুন্দরানার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত। এই কলেজে তেরোটি বিষয়ে স্নাতক, চারটি বিষয়ে স্নাতক-পরবর্তি এবং এমফিলের ডিগ্রি দেয়া হয়।
জল কোথা থেকে কোথায় গড়ায় বোঝা দায়। জ্যাকী এমনটা ভাবেইনি। তবে এটি তার জীবনে একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক। তার আরও দশটি নতুন গল্প লেখা হয়েছে। সেগুলো প্রকাশের এখনই সময়।
#english_literature_in_south_asia