
প্রাণীর চামড়া-হাড্ডি এবং মানুষের ভূষন
খবরটা জানাই যেত না যদি না অভিনেত্রী প্যামেলা অ্যাণ্ডারসন বিলেতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি না লিখতেন। প্যামেলা অ্যাণ্ডারসন বলেই এটি খবর হয়েছে। আমি চিঠি লিখলে তা বরিস বাবুর কাছে পৌঁছুতো না।
যাই হোক, প্যামেলা অ্যাণ্ডারসন অনুরোধ করেছেন ইংল্যান্ড যেন রাণীর পাহারাদারদের লম্বা টুপিতে ভাল্লুকের চামড়া ব্যবহার বন্ধ করেন।
খবরে বলা হচ্ছে বিলেতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নাকি গেল সাত বছরে ভাল্লুকের চামড়া দিয়ে তৈরি ৮৯১টি টুপি কিনতে করদাতাদের দশ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে।
ইংল্যান্ডের করদাতাদের অর্থ ইংল্যান্ড খরচ করবে তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে ভাল্লুকের চামড়া দিয়ে টুপি তৈরি নিয়ে বলার আছে। ভাল্লুক মারার সময় সাধারণত মানুষ গুলি করে মারে।
ঐ দেশের এই রাজকীয় পাহারাদাররা নাকি গেল দু’শ বছর ধরেই ভাল্লুক মেরে আসছে। আচ্ছা, ঠিক আছে। দু’শ বছর আগে প্রাণী হত্যা করে মানুষের ভূষন তৈরি উচিৎ নয় সেই জ্ঞান আমাদের ছিল না। এখন হয়েছে।
এখন তাহলে এ কাজ থামিয়ে দিই!
এই টুপি ফরাসি রাজা নেপোলিয়নের পাহারাদাররাও মাথায় দিত। এতে নাকি সৈনিকদের আরও লম্বা ও শক্ত-সামর্থ মনে হতো। শোনা যায় ওয়াটারলূ’র যুদ্ধের সময় নাকি ফরাসিরা বিলেতি পাহারাদারদের টুপি ছিনিয়ে নিয়েছিল।
শুধু ইংল্যান্ড বা ফ্রান্স নয়। সারা বিশ্বে কোটি কোটি প্রাণীকে হত্যা করা হয় চামড়া, ঊল, পালক, ফার ইত্যাদী আহরণের জন্যে। হাড্ডির কথা তো বাদই দিলাম। যেসব প্রাণিকে মেরে ফেলা হয় না তাদের কেমন পরিস্থিতিতে রাখা হয় তা সবার জানা। ফার্মে ঐসব প্রাণীদের অনেক বছর ব্যবহার করার পর জবাই করে সস্তায় মাংসের দোকানে বিক্রি করা হয়।
অনেকেই হয়তো বলবেন – ‘মিঞা, মানুষেরই অধিকার নেই, আর আপনি এসেছেন প্রাণীর অধিকার নিয়ে কথা বলতে’।
না, শুধু প্রাণীর অধিকার নিয়ে কথা বলছি না। বলছি মানুষ হত্যা যেমন নিষ্ঠুর, প্রাণী হত্যাও তেমনি নিষ্ঠুর। দু’জনেই একই রকম যন্ত্রণা নিয়ে মারা যায়।
#Pamela_Anderson #প্রাণী_হত্যা