
রোবটের সাহিত্যচর্চা
চার-পাঁচ বছর আগে ঢাকা ট্রিবিউনে এক লেখায় কল্পনা করেছিলাম যে এআই — কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা – সাহিত্যচর্চা করছে। রোবট রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে, শেক্সপীয়ার, মার্কেজ, কামু হচ্ছে। লেখাটি কারও চোখে পড়েনি। শুধু দ্য ডেইলী স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ ভাইয়ের সাথে একদিন দেখা হলে তিনি বলেছিলেন যে তিনি ঐ লেখাটি দেখেছেন। শুনে ভাল লেগেছিল।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাদের লেখা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। বিরামপাং নামে এক কোরিয়ো রোবট ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্রম নাউ অন’ নামে এক উপন্যাস লিখেছে। ৫৬০ পৃষ্ঠার। ইংরেজিতে। অনেক আলাপ হচ্ছে দেশে বিদেশে।
গল্প পাঁচ জনের। বিশেষ ভাবে সক্ষম এক শখের অঙ্কবিদ, এক জন অঙ্কের অধ্যাপক, এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, এক জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী এবং এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। সবাইই ছুটে চলেছেন মানুষের অস্তিত্বের সন্ধানে।
ঘটনাটা মজার। যিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করছেন তিনিই কি উপন্যাস রোবটের মাথায় প্রোগ্রামড করে দিচ্ছেন। নাকি রোবট নিজেই চিন্তা করে লিখছে। বই বিক্রির রয়ালটি কে পাবে?
সফ্টওয়্যার কি আসলে গল্প লিখতে পারবে নাকি সে গুগল ট্রান্সলেশানের মত আচরণ করবে?
বিরামপাং কি লিখলো পড়তে ইচ্ছে করছে। সাহিত্যের দখল যন্ত্র নিচ্ছে কিনা তা বোঝা দরকার। গেল বছর এক ব্রিটিশ পত্রিকা রোবটের লেখা উপসম্পাদকীয় ছাপিয়েছিল। একই বিষয়ে আটটি লেখা লিখে দিয়েছিল সে। তবে পত্রিকাওয়ালা সবগুলোর সেরা সেরা অংশ নিয়ে তৈরি করেছে একটি, ছাপিয়েছেও তাই।
ইনপুট ও আউটপুট…চিন্তা নাই, মানব সাহিত্যিক; লেখা চালিয়ে যাও…